Freelancing and Outsourcing

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি ?   

ফ্রিল্যান্সিং কি ? 

বর্তমান সময়ে তরুণদের কাছে সবচাইতে আলোচিত একটি শব্দ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এ ধরণের পেশাজীবীকে বলা হয় ফ্রীলেন্সার (Freelancer) বা স্বাধীনপেশাজীবী। চাকুরীজীবীদের মতো এরা বেতনভুক্ত নয়। কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভর করে আয়ের পরিমাণ কম বা অনেক বেশি হতে পারে, তবে স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছা মতো ইনকামের সুযোগও আছে। এজন্য স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা।

আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন,তবে তা আপেক্ষিক। ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ হওয়াতে এ পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে। যার কারণে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী এবং অনেক চাকুরীজীবি এই পেশায় প্রতিনিয়ত’ই আসছেন। বর্তমানে আউটসোর্সিং হচ্ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের তৃতীয় ক্ষেত্র। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার।    

আউটসোর্সিং কি ? 

একটু ভাবুন তো আপনার একটি কোম্পানি আছে, আপনার কিছু পোস্টার তৈরী করা প্রয়োজন। এখন আপনি কি করবেন? নিশ্চই কোন প্রিন্টিং কোম্পানি অথবা যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। এখন একটা প্রশ্ন-  আপনি নিজে কেন করছেন না? উত্তরটি হচ্ছে আপনি এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কিন্তু যদি আপনি কাজটি করতে যেতেন তাহলে কি কি জিনিস আপনার দরকার হত। 

১. আপনার একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার হত। 

২. একটা ছাপাখানা দরকার হত। 

৩. আপনার কাটিং মেশিন দরকার হত। 

মোটামোটি এগুলো হলে আপনার পোস্টার টি আপনি তৈরী করতে পারেন। আপনার ২০০০ পোস্টার করার জন্য কত কিছুই না দরকার হত। কিন্তু আপনি যদি অন্য কোন কোম্পানি, যারা এই ধরনের কাজটি করে তাদেরকে দেন, তারা আপনার কাজটি করে দেবে খুব সহজে। এটাও এক ধরনের আউটসোর্সিং, একটি কোম্পানির কাজ অন্য কোন কোম্পানিকে দিয়ে করিয়ে নেয়া। আরো সহজ ভাবে যদি বলতে যাই- তাহলে, অন্য কোন দেশের অন্য কারো কাজ বাড়িতে বসে ইন্টারনেট এর মাধমে করাই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
  

ইন্টারনেটে চাকরি বা ফ্রীল্যান্সিং কি ? 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন দেশের কোম্পানীর সাথে কাজ করতে পারি। নতুনদের কাছে অনেকটা আশ্চর্যের শোনালেও এটাই সত্য। ইন্টারনেটের চাকরিটা অনেকটা আমাদের বাস্তব জীবনের মত হলেও এখানে রয়েছে অনেক সুবিধা। রিয়েল লাইফে চাকরি করতে প্রয়োজন সার্টিফিকেট, লিঙ্ক, ঘুষ আরও অনেক কিছু। কিন্তু ইন্টারনেটে চাকরি করতে গেলে এই গুলোর কোন প্রয়োজন নেই, এখানে দরকার শুধু দক্ষতা। 

বাস্তব জীবনে যেমন চাকরির একটা নির্ধারিত সময় থাকে, নিয়ম থাকে, এখানে কিন্তু এমন কিছুই নেই। এখানে আপনি সম্পূর্ণই স্বাধীন বা মুক্ত। আর এই জন্যই এই চাকরিকে বলা হয়ে থাকে ফ্রীল্যান্সিং বা মুক্তপেশা। শুধুমাত্র ভালভাবে কাজ জানা থাকলে আপনিও এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের দেশে এই রকম কয়েক লক্ষ ফ্রীল্যান্সার আছেন যারা অনলাইন থেকে এইভাবে চাকুরি বা ফ্রীল্যান্সিং করে আয় করছেন। এর প্রমান কিন্তু এই পোস্টের উপরেই দেয়া আছে। যাই হোক, তাহলে চলুন এবার দেখি কোথায় এবং কিভাবে এই চাকরি পাওয়া যায়।  
 

চাকরী পাবেন কোথায়, দিবে কে ? 

হ্যা, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। যেমন ধরুন- প্রথম আলো বা বিভিন্ন পত্রিকায় আলাদা একটি কলাম’ই থাকে চাকরির বিজ্ঞাপনের জন্য, যেখানে বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানীতে চাকুরির জন্য বিজ্ঞাপন দেয় এবং আমরা পত্রিকায় সেই বিজ্ঞাপন দেখে ওই কোম্পানীতে চাকুরির জন্য যোগাযোগ করি। 

অনলাইনের চাকুরির ব্যাপারটাও অনেকটা একই রকম। তবে এখানে চাকুরীদাতা এবং আপনার মধ্যে একটি সিকিউর বা নিরাপদ যোগসূত্র তৈরি করার জন্য রয়েছে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস। এই সকল মার্কেটপ্লেস গুলো মূলত হচ্ছে এক একটি ওয়েব সাইট। এই সকল সাইটে মূলত দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। একটি হচ্ছে ফ্রীল্যান্সার বা ওয়ার্কার অ্যাকাউন্ট এবং আরেকটি হচ্ছে বায়ার বা ক্লাইন্ট অ্যাকাউন্ট। একই সাইটে এই দুই ধরনের লোক থাকেন, একদল কাজ দেন এবং একদল কাজ করেন। যারা কাজ দেন তাদের বলে বায়ার বা ক্লাইন্ট, আর যারা কাজ করেন তাদের বলে ওয়ার্কার বা ফ্রীল্যান্সার। যেমন, এই ধরনের জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট/মার্কেটপ্লেস হচ্ছে- আপওয়ার্ক.কম যার পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক। ধরুন- একটি অফিসের/কোম্পানীর জন্য একটি ওয়েবসাইট বানানোর প্রয়োজন। এখন, ওই অফিসের মালিক কোথায় খুজবেন এমন একজনকে যিনি তার অফিসের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিবেন? তাই এই ধরনের একজন ওয়ার্কার খুজে পাওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং সাইটে “একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন”- শিরোনাম লিখে একটি জব পোস্ট করলেন। এখন যেহেতু ওই ক্লাইন্ট একজন ওয়েব ডিজাইনার চাইছেন, তাই আপনার যদি ওই ফ্রীল্যান্সিং সাইটে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি ওই ক্লাইন্টের ওই জবটিতে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
একই ভাবে কাজটি করার জন্য আপনার মত আরও অনেক ওয়ার্কার আবেদন করবে এবং ক্লাইন্ট তখন বিভিন্ন জিনিস যাচাই বাছাই এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আপনাদের মধ্য থেকে একজন বা একের বেশি জনকে কাজটি করতে দিবে। এইভাবে আপনি যদি কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করে ক্লাইন্টের কাছে জমা দিতে পারেন তাহলে ক্লাইন্ট আপনাকে পেমেন্ট করে দিবে।   

ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে যা মাথায় রাখা জরুরীঃ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা যে কারো জন্যই একটি বিশাল অর্জন। আর এ ক্ষেত্রে ওয়েব সেক্টর এখন অনেক ভাল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমরা এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আয়ের একটি উৎস খুঁজে বেড়াই। অনেক সময় অনেক রকমের প্রতারণার সম্মুখীনও হতে হয়। আবার যে সকল কাজগুলো সত্যিই কার্যকর সেগুলোও অনেক সময় একটু সাহসের অভাবে করে ওঠা হয় না। তাই আজকের এই লেখাতে পুরো ব্যাপারটিকেই একটি আকার দেয়ার চেষ্টা করব। 

আমাদের চারপাশে অনলাইনে টাকা আয়ের এত উপায়ের মধ্যে আপনারা যেন হারিয়ে না যান, সে জন্য এই লেখা। অনেক সময়ই ‘ফ্রীল্যান্সিং শিখুন, স্বনির্ভর হোন!’ টাইপের বিজ্ঞাপণ আমাদের চোখে পড়ে। আসলে অর্থ-কড়ি, টাকা-পয়সার প্রতি আমাদের টান এর কারনেই আমরা এ সকল অফার লুফে নিতে চেষ্টা করি। কিন্তু সকল চেষ্টার আগে আমাদের যা কিছু মাথায় রাখতে হবে, তা হল- কাজের দক্ষতা। 

ফ্রীল্যান্সিং হচ্ছে এক কথায় ছুটা কাজ। উন্নতবিশ্বের বাসিন্দারা তাদের যে কোন কাজে সাহায্যের প্রয়োজন হলে খুচরাভাবে তা বাইরে থেকে করিয়ে নেন। এটিকে বলা হয় আউটসোর্সিং। আর আউটসোর্স সাপোর্ট ওয়ার্কাররাই ফ্রীল্যান্সার। স্থায়ী ভাবে নিয়োগ না পেয়েই ফ্রীল্যান্সিং করা যায়। আর বায়াররা মূলত যে সকল কাজ আউটসোর্সিং করিয়ে নেন তার ৮০% এরও বেশি কাজ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা তা সম্পর্কিত। 

তাই ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে আমি বলব ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ওপর ভাল দখল থাকতে হবে। আজকাল ফ্রীল্যান্সিংয়ের অনেক ফ্রী পরামর্শ পাওয়া যায়। আর বিশদ জানতে চাইলে ফ্রীল্যান্সিং শেখার কোর্স করতে হয়। যেখানে শুধু মার্কেটপ্লেস এবং কম্পিটিশন সম্পর্কে অনেক ধারনা দেয়া হলেও ‘দক্ষতা’ বিষয়টিকে বরাবরই এড়িয়ে যাওয়া হয়। কোথাওতো শুধু মাত্র ব্ল্যাক লিংক বিল্ডিংকেই ফ্রীল্যান্সিং/এসইও ওয়ার্ক বলে আখ্যা দেয়া হয়। 

মনে রাখবেন, ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে আপনার ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা অনলাইন মার্কেটিং এর কাজের উপর ভাল দক্ষতা থাকতেই হবে। আপনি চাইলে এখনই শুরু করতে পারবেন, হয়ত কাজও পাবেন; কিন্তু এসবের উপর দক্ষতা আসার পরেই তা ক্লায়েন্টকে করে দিতে পারবেন। সুতরাং ঝোপ বুঝে কোপ মারার চিন্তা না করে আগে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন।

মার্কেটপ্লেস ও মার্কেট আইডিয়া

সবার আগে আপনাকে মার্কেটপ্লেস-এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে Upwork, Elance, Freelancer অন্যতম। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালভাবে ধারণা না থাকাটা অনেক সময়েই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। কাজের বাজার-দর উভয় ধারণাই এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

মার্কেটপ্লেস-এ রেজিস্ট্রেশনের পরে প্রথম কাজ হল সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করা। এক্ষেত্রে একটু সুন্দর করে সময় দিয়ে ধাপে ধাপে ওয়ার্কার প্রোফাইল তৈরী করা হল বুদ্ধিমানের কাজ। আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে আপনার পূর্ববর্তী কাজের একটি পোর্টফোলিও তৈরী করা। এটিই আপনাকে আপনার প্রথম কাজটি পাইয়ে দিতে অনেকখানি সাহায্য করবে। কেননা প্রথম কাজটি পাওয়াই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। একটি প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে মার্কেটপ্লেস ভেদে বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে হয়। 

একবার আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পরে আপনার কাজ হল বিড করা। কিছু মার্কেটপ্লেসে বিডের লিমিট থাকে। তাই অবান্তর এবং শুধু শুধু বিড করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। বিড এ PM বা পার্সোনাল ম্যাসেজ করুন। সেখানে একটু আকর্ষণীয় কিছু লেখার চেষ্টা করুন। মুখস্থ বা কমন কিছু লিখবেন না যাতে বায়ারের কাছে আপনার বিডটি র‌্যান্ডম এবং অর্ডিনারি মনে হয়। 

বায়ার আউটসোর্সিং এর এড টিউন করার পর প্রথম ৫-৭টি বিড’ই তাদের মনযোগ আকর্ষণ করে। তাই বিডার হিসেবে দ্রুত হবার চেষ্টা করুন। সেই সাথে যুতসই ও প্রজেক্ট রিলেটেড ম্যাসেজ লিখুন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় কাজ পেয়ে যাবেন। এতে অবশ্য ২দিনও লাগতে পারে, আবার ২ মাসও। তাই লেগে থাকুন, ধৈর্য রাখুন।   

ওডেস্ক (আপওয়ার্ক) থেকেই শুরু হোক ফ্রিলান্স ক্যারিয়ার

আপওয়ার্ক কি ? 

আপওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটা জায়গা যেখানে কাজ দেয়া-নেয়া হয়। এটি একটি মার্কেটপ্লেস আর খাস বাংলায় এটাকে কাজের বাজারও বলতে পারেন (নো প্রবলেম)। তবে মনে রাখবেন আপওয়ার্ক অথোরিটি নিজে কাউকে কাজ দেয় না। ইতোমধ্যে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, আমি যদি আপওয়ার্ক-এ যোগ দিই তাহলে কি আমাকে কাজ দিবে? আমি আবারো বলছি আপওয়ার্ক নিজে আপনাকে কাজ দিবে না কখনো’ই।

আর মনে রাখবেন, আপওয়ার্কে ২ ধরনের মানুষের আনাগোনা। এক ধরনের মানুষ যারা কাজ দেয় আর এক ধরনের মানুষ আছে যারা ওই সমস্ত কাজ গুলো করে দেয়। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, আপওয়ার্কে আপনার-আমার মতই মানুষেরা কাজ দেয় যাদেরকে আমরা বলি ক্লায়েন্ট বা বায়ার। আর আমরা যারা ওই সমস্ত কাজ গুলো করে দিই তাদেরকে বলা হয় কন্ট্রাক্টর। কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে আমরা এর মজুরি পেয়ে থাকি বায়ারের কাছ থেকে। 

ব্যাপারটা আরেকটু সহজ করতে একটা উদাহরণ দিই। আমরা অনেকেই প্রাইভেট টিউশনি করি। বর্তমানে এইটা পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু আমার দরকার, তাহলে আমার করনীয় কি? একটা প্রাসঙ্গিক মিডিয়ার কাছে যাব, সেখানে ফর্ম পূরণ করে সদস্য হতে হয়। যেখানে আপনার পুরো জীবন-বৃত্তান্ত এবং যোগ্যতাসমূহ উল্লেখ থাকবে। যার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ক্লাসের স্টুডেন্ট পড়াতে পারবেন। এরপর টিউশনিতে যোগ দান করার পর একটা নির্ধারিত সময়ে বেতন পাবেন। এবং আপনি যেহেতু মিডিয়ার কল্যাণে কাজটি পেয়েছিলেন তাই আপনার পাওয়া বেতনের টাকা থেকে একটা নির্দিষ্ট পার্সেন্টেস মিডিয়াকে দিতে হবে। এটাই মিডিয়ার লাভ। এভাবেই চলছে মিডিয়াগুলো। এরূপ আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপওয়ার্কে আপনি কাজ পাবেন।

ধরুন, আমার যোগ্যতা আমি ইংরেজিতে ভাল, তাই আর্টিকেল লেখার যোগ্যতা আমার আছে। তাই বলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত বড় ধরনের কাজ গুলোতে আপনি কখনই কাজ পাবেন না। আগে আপনি যোগ্যতা অর্জন করুন এরপর আবেদন করুন পছন্দনীয় কাজে। 

আর এই কাজ পেতে সাহায্য করবে আপওয়ার্ক এবং এর বিনিময়ে আপনার আয়ের % ফী আপওয়ার্ক কেটে রাখবে। আপনার এই আয়ের টাকা দিয়েই চলে আপওয়ার্ক। তাই আপওয়ার্ক চায় তার সাইটের সব কাজ যেন সাকসেস হয়। এতে তার আয়ের পরিমান বাড়বে। তার মানে আপনি কাজ করতে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন আপওয়ার্ক থেকে।  

কিভাবে আমি কাজ পাব ? 

হ্যা, আপনি তো বুঝেই গেছেন কেন ও কিভাবে আপনি কাজ পাবেন। বুঝতে পারেন নি এখনো! ঐ যে বললাম যোগ্যতা। ধরেন আপনি আপওয়ার্ক নীতিমালা অনুসরণ করে এর ফর্ম পূরণ করলেন, যা ১০০% ফ্রি। এবং জবে আপ্লাই করা আরম্ভ করলেন, তাহলেই কি কাজ পেয়ে যাবেন? হুহ, এত সহজ!!! এতই যদি সহজ হত তাহলে এতদিনে পৃথিবীর সব মানুষ গুলো এই কাজই করতো এবং ঘুমাতো টাকার বিছানায়। হতাশ হবেন না, আরে ভাই ভুলে যাচ্ছেন কেন আপওয়ার্ক তো অপেক্ষা করছে আপনার জন্যই! ভাবছেন তাহলে আমার করনীয় কি? প্রোফাইলটা ১০০% কমপ্লিট করুন। 

কিভাবে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট করবো ? 

আপওয়ার্ক নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। এখন একটু ভাল করে পড়ে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন কোনটার পর কোনটা করতে হবে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। সাধারণত এইগুলি কমপ্লিট করলেই ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট। 

ছবি যুক্ত করতে হবে, আগে কোথায় কাজ করেছেন, সেই ডাটা পূরণ করতে হবে, ঠিকানা দিতে হবে, আপনার বিষয় মানে যেই কাজে দক্ষ, সেইগুলা দিতে হবে, রেডিনেস টেস্টে পাশ করতে হবে, রেডিনেস টেস্ট ছাড়া আপনার বিষয় এর আরেকটা টেস্ট দিতে হবে, এবং পাশ করতে হবে, আইডেন্টিটি ভেরিফাই করতে হবে, পোর্টফলিও যোগ করতে হবে।

  
ওয়েব ডিজাইন কি ? 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডেভেলপ হচ্ছে ওয়েবসাইটের পিছনের অংশ যেখানে পেজ ও প্রোগ্রামের মাঝে সমন্বয় তৈরি করে ভিজিটরের কাজের উপযোগী করে তোলা হয়। আর ওয়েব ডেভেলপার হচ্ছে সেই ব্যক্তি যিনি ওয়েবসাইটকে ভিজিটরদের কাজের উপযোগী করে। একজন ভালো ডেভেলপার জানেন কিভাবে একটি ওয়েবসাইটকে কাজের উপযোগী করে তোলা যায়।

তবে একটা মজার বিষয় হল আপনি এমন কোন ওয়েব ডিজাইনার পাবেন না যার JavaScript, PHP, ও HTML সম্পর্কে ধারনা নেই। আবার, আপনি এমন কোন ওয়েব ডেভেলপার পাবেন না যার ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা নেই।

  
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে যেসব জানতে হবেঃ

এইচটিএমএল, সিএসএস এবং এরপর নিচেরগুলি-

ক্লাইন্ট সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন জাভাস্ক্রিপ্ট : এটাকে ব্রাউজার স্ক্রিপ্টিংও বলা হয় অর্থ্যাৎ এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লেখা কোড শুধু কোন ব্রাউজারে (যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, গুগল ক্রোম ইত্যাদি) কাজ করবে। জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে দ্রুত কাজ করা যায়, এরুপ একটি ফ্রেমওয়ার্ক জেকোয়েরি টিউটোরিয়াল।

সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন পিএইচপি : এটাকে সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং বলা হয় কারন এই ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লেখা কোডগুলি শুধু সার্ভারে এক্সিকিউট হয়। 

ডেটাবেস : পিএইচপি দিয়ে কিভাবে ডেটাবেস সংযোগ করতে হয়, এসকিউয়েল দিয়ে ডেটাবেস বানানো অর্থ্যাৎ ডেটাবেস ডিজাইন জানতে হবে কারন এখন যেকোন ডাইনামিক সাইটের ডেটাবেস আছে অথবা বলতে পারেন ডেটাবেস থাকতেই হয়। 

পিএইচপি এর যেকোন একটা ফ্রেমওয়ার্ক যেমন কোডইগনাইটার: (আরও আছে যেমন কেক পিএইচপি, জেন্ড ফ্রেমওয়ার্ক, সিমফনি, ওয়াই আইআই, কোহানা ইত্যাদি একটা শিখলেই চলবে)। কোন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াও ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন তবে এতে বেশি সময় লাগবে এবং বেশি কোড লিখতে হবে। 

এক্সএমএল : ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরীতে এক্সএমএল লাগে।   

ব্লগস্পট কি ? 

বর্তমান বিশ্বে ব্লগিং একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্লগাররা ব্লগিং করে তাদের সামাজিক এবং মূল্যবোধের পরিচয় দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্লগিং করে তারা অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। আপনি আমার এই নিবন্ধটি পড়ছেন এর অর্থ আপনার মাঝে ব্লগিং করার সুপ্ত বাসনা হলেও রয়েছে। তবে আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের ওয়েব বা ব্লগ পাবলিশার হতে পারেন তবে তুলনামূলক কম পরিশ্রম করে আজীবন ভাল ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশী ব্লগাররা বাংলা ভাষায় ব্লগ লিখছেন। ফলে বাংলা ভাষার পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে। সেই সাথে বাংলা ভাষায় তথ্য অনুসন্ধানে গুগল ব্লগিং কিওয়ার্ড নিয়ে অপর্যাপ্ততামুলক কোন বাণী শোনায় না। ব্লগিং নিয়ে অসংখ্য বাংলা তথ্য প্রকাশের ফলে এই সমস্যাটি এখন আর নেই। 
বর্তমানে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ব্লগিং এবং অন্যান্য অসংখ্য মাধ্যম নিয়ে নতুনদের প্রশিক্ষন দিচ্ছে। ফলে সহজেই আমরা ব্লগের গুরুত্ব বুঝতে পারছি। “বাংলাহিলি.কম” নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে এ ধরনের একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। আপনি এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

যাই হোক আমাদের মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ ব্লগিং শুরু করছে কিন্তু নির্দিষ্ট গাইডলাইনের অভাবে কিছু দিনের মাঝেই তারা ঝরে পড়ছে। 

নতুনদের জন্য আমার পরামর্শ, প্রথমেই ব্লগিংকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে নয়, এটিকে একটি গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োগে এই গণমাধ্যমটি ধীরে ধীরে আপনার অর্থ উপার্জনের রাস্তা তৈরি করবে।

আশা করছি বিশ্বের সেরা ব্লগারদের মাঝে নিজের অবস্থানটি সহজেই তৈরি করে নিতে পারবো। আপনাদের সামনে এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করার একমাত্র প্রধান উদ্দেশ্য হল আপনি এ থেকে একধরনের উৎসাহ পাবেন যা আপনাকে ভবিষ্যৎ ব্লগার হিসেবে প্রস্তুত করতে সহায়ক হবে।   

ওয়ার্ডপ্রেস কি ? 

ওয়ার্ডপ্রেস হল বর্তমান সময়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্লগিং সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে একটি সুন্দর ব্লগ তৈরি করা যায়। ২০০৩ সালের ২৭শে মে ম্যাট মুলেনওয়েগ এটি প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করেন। বর্তমানে হাজার হাজার সেচ্ছাশ্রমী এই প্লাটফর্ম এর মান উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন।  

 
কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবো ? 

বিশ্বের অধিকাংশ ব্লগই বর্তমানে এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহারের প্রধান কারন হচ্ছে এটি ওপেন সোর্স ভিত্তিক একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ফলে যেকোনো ব্যক্তি তার পছন্দমত এটিকে সাজাতে পারে, পছন্দ মত আপডেট তৈরি করতে পারে। মোট কথা ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে এটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। 

পিএইচপি, মাইএসকিউএল বা এইচটিএমএল এক্সপার্টরা পূর্বে ব্লগ ডিজাইন করতে অনেক পরিশ্রম করতো কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির উন্নয়নে এধরনের একটি ওপেন সোর্স ভিত্তিক আকর্ষণীয় প্লাটফর্ম সত্যি প্রশংসার দাবিদার। 

ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা কোনো প্রকার মাইএসকিউএল, পিএইচপি, এইচটিএমএল বা কোডের জ্ঞান ছাড়াই ওয়েবসাইট বা ব্লগ কয়েক দিনেই তৈরী করা সম্ভব। সার্চ ইঞ্জিন এক্সপার্টদের কাছে এটি সবচেয়ে ভালমানের সিএমএস কারন অতি সহজেই এর কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন পড়তে পারে। এবং খুব দ্রুত এটি লোডিং হয়। ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যারটি ওপেনসোর্স এবং বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও বিনামূল্যে অসংখ্য প্লাগইন, উইজেট এবং থীম পাওয়া যায় যা আপনার ব্লগকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে। 

যারা প্রোগ্রামিং জানেন না, তারা এর বিভিন্ন টুলস দিয়ে সহজেই এর মানোন্নয়ন করতে পারবেন। পরিশেষে, ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা আপনার ব্লগকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব।   

এসইও কি ? 

SEO মানে ‍Search Engine Optimization। বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পেতে গুগলে সার্চ করে। গুগল তখন তার সার্চ রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো সাইটের ফলাফল প্রদর্শন করে। কোনটি প্রথমে, কোন ওয়েবসাইটের নাম হয়ত প্রদর্শন করে ২নং পেজে। যেটি প্রথমে দেখা যাচ্ছে সেটি প্রথমে দেখাচ্ছে কারন সেটিকে এসইও করা হয়েছে। কোন ওয়েবসাইটকে সার্চের প্রথমে প্রদর্শন করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে। 

যখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চের প্রথমে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। আর ভিজিটর বৃদ্ধি হলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়। ধরুন, আপনি গ্রাফিকস কোর্স করবেন, সেজন্য ট্রেনিং সেন্টার খুজছেন। তাহলে হয়ত আপনি গুগলে লিখবেন graphics training in Bangladesh। তখন সার্চের প্রথমে দেখবেন আমাদের ট্রেনিং সেন্টার ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের নাম। আর এটি দেখে হয়ত আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করল, এরপর এখান থেকে তথ্য পেয়ে পছন্দ হলে এখানে এসে কোর্সে ভর্তি হয়। এটি হল এসইও’র ফযিলত।    

সার্চ ইঞ্জিন কী ? 

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন সারা বিশ্বের যত ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে যত তথ্য আছে, সব আমাদের সামনে চলে আসে। এ বিষয়গুলো জানার এসব উৎসকে সার্চ ইঞ্জিন (search engine) বলে। বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলোঃ গুগল (google), ইয়াহু (yahoo), বিং(bing) ইত্যাদি। 

এই সব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে, কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়।  

 
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে ? 

সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে মানুষের তথ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য। কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটি মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েবসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।  
 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ? 

ওয়েবসাইট তৈরি হয় কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য। যতবেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে, ততমানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পাবে। সার্চ ইঞ্জিন কোন একটি ওয়েবসাইট ভিজিটরের প্রধান উৎস। শতকরা ৮০% ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে। ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে। বিভিন্ন কারণে সার্চ ইঞ্জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

ক) যেকোন ওয়েবসাইটের বেশীর ভাগ ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে থেকে আসে। প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয়। 

খ) United States-এ এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন সার্চ হয়। (সূত্র : com score.2008) 

গ) অনেকে জানেনা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে। সে জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সে বিষয় লিখে সার্চ করে। তখন প্রয়োজনীয় সাইটের লিস্ট তাদের কাছে চলে আসে। 

ঘ) বিনামূল্যে যেকোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়, সেজন্য সবাই এটি ব্যবহার করে। 

ঙ) সকল তথ্যে বিশাল ভান্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সেজন্য এটির উপর সবার নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়ছে। 

চ) যেহেতু তথ্য খুঁজে পেতে সবাই সার্চইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে, সেজন্য সকল কোম্পানী তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চের প্রথমে তাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে রাখতে চায়। 

ছ) মার্কেটিংয়ের সনাতনী সকল পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল এবং বর্তমানযুগে কম কার্যকরী। অন্যদিকে SEO-তে খরচ কম কিন্তু আগের পদ্ধতির চাইতে কমপক্ষে ৬০ভাগ বেশি কার্যকরী।    

ক্যারিয়ার হিসাবে SEO

বাংলাদেশে যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের বেশিরভাগ এসইও এর মাধ্যমে আয় করে। কারন বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি কম। সাধারণত যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারন ধারনা আছে, ইংরেজীতে মোটামুটি পারদর্শী, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা অতি সহজে এসইও এর কাজে পারদর্শী হতে পারেন। কোন প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নাই বিধায় এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। 

১)বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে (upwork.com, freelancer.com ইত্যাদি) ভিজিট করলে দেখা যায়, এসইওর কাজ সবচাইতে বেশি। 

২) নিজের একটি ব্লগ সাইট খুলে সেটিকে এসইও করে গুগলের প্রথমদিকে আনতে পারলে যদি ভিজিটর বৃদ্ধি পায় তাহলে অ্যাডসেন্স কিংবা এ ধরনের আরও অনেক বিজ্ঞাপনী সার্ভিসের মাধ্যমে ভাল আয় করা যায়। এ পদ্ধতিতে সাধারণত মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ডলারের মত আয় করা যায়। 

৩) অ্যাফিলিয়েশন্সের আয়ের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচুর পরিমানে টার্গেটেড ভিজিটর। আর ভিজিটর আনতে হলে এসইও করতেই হবে। আউটসোর্সিংয়ের এ কাজের মাধ্যমে মাসে আয় করা যায় সাধারণত ৩০০ -২০০০ ডলার। 

৪) এসইও’র মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে আনতে পারলে এবং ভিজিটর প্রচুর পরিমানে ওয়েবসাইটে আসলে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানীর বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে মাসে ৩০০০০ টাকা থেকে ৫লাখ টাকাও আয় করতে পারবেন। যেমন টেকটিউনসে কোন প্রকার অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হয়না। এখানের আয় সম্পূর্ণ লোকাল বিজ্ঞাপন। 

৫) এসইও শিখার আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এসইও কোর্স একটি কিন্তু আয় করা সেক্টর অনেকগুলো। যেমনঃ ফোরাম টিউনিং কিংবা ব্লগ টিউমেন্টিং কিংবা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিংবা পুরো এসইও করে আয় করা যায়। 

৬) প্রতিদিন মাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়ে এসইও করা যায়। সেজন্য অন্য চাকুরীর পাশাপাশি এটি শিখে আয় করা সম্ভব।   

ফরেক্স ট্রেডিং  

 
ফরেক্স কি ? 

Forex হল Foreign Exchange এর সংক্ষিপ্ত রুপ। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিকেন্দ্রিক মুদ্রা বাজার। এই মার্কেটে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমে আয় করা যায়। অর্থাৎ আপনি একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে আরেকটি দেশের মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনি যখন একটি দেশের মুদ্রা দিয়ে আরেকটি দেশের মুদ্রা ক্রয় করবেন সেই দেশের মুদ্রার দাম আপনার ক্রয়কৃত দামের ঊর্ধ্বগতিক পার্থক্যই হচ্ছে আপনার লাভ। 

এই বাজারটি এত বড় যা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ মার্কেটের চেয়ে কয়েক গুন বেশি ভলিয়াম এ দৈনিক ট্রেড হয়। যার দৈনিক টার্ন-অভার এর পরিমান প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ইউ.এস ডলার এরও বেশি। বর্তমানে বিশ্বের ১৫-২০ ভাগ মানুষ ফরেক্সকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন কেউ পার্টটাইম কেউবা ফুলটাইম পেশা হিসেবে। মূলত ফরেক্সও একধরনের আউটসোর্সিং বিজনেস। যেখানে প্রফিট করতে হয় একটি ভালো সুশিক্ষার মাধ্যমে। না জেনে না বুঝে এই মার্কেটে নামা  মানে হচ্ছে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। 

প্রপার এডুকেশন ছাড়া আপনি এই মার্কেটে নিতান্তই একজন দর্শক। তাই ট্রেডার যদি হতে চান তাহলে আগে ভালোভাবে শিখে নিন তারপর শুরু করুন। ভয় কিংবা নেগেটিভ করছি না, কারন অল্প শিখে নেমে পড়ে যখন কোন কিছু বোঝার আগেই সব হারাবেন তখন হয়ত আপসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। 

ফরেক্স এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ ১৮৭৬ সালে স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা( gold exchange standard) চালু করা হয়েছিল।এই ব্যবস্থায় মুদ্রার মূল্যমান স্বর্ণের মানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। ফলে মোট স্বর্ণের মূল্য’র সমপরিমাণ কাগুজে মুদ্রা কোন দেশের জন্য রাখা হত। এই পদ্ধতি বেশ ভালই ছিল। কিন্তু স্বর্ণ এর আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে এই পদ্ধতির ত্রুটি ধরা পরে এবং একে বিদায় নিতে হয়। 

এই স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা বাতিল করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর সময় যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিশাল সব প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করার মতো টাকা ছিলোনা। কারণ তাদের স্বর্ণের মজুদ ঐ পরিমাণ টাকা ছাপার জন্য খুবই অপ্রতুল ছিল। যদিও এই স্বর্ণ ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে, তবুও স্বর্ণ তার মূল্য এবং মুদ্রামানে নিজের অবস্থান ভালভাবেই ধরে রেখেছে। 

পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় যে, সকল মুদ্রার মান নির্দিষ্ট হবে এবং আমেরিকান ডলার হবে মুদ্রার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত ভিত্তি যা স্বর্ণ এর বিপরীতে একমাত্র পরিমাপকৃত মুদ্রা। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ব্রেটন উডস ব্যবস্থা ( Bretton Woods System) যা ১৯৪৪ সালে কার্যকর হয়। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় যে তারা আর স্বর্ণের বিপরীতে ডলার এর বিনিময়-এ আগ্রহী নয় যা বৈদেশিক সংরক্ষণ হিসেবে রাখা আছে। 

এর ফলে ব্রেটন উডস ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয় যার মাধ্যমে মূলত সর্বসম্মতভাবে পরিবর্তনশীল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল। এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় যা ১৯৯০ সালের দিকে বর্তমান যান্ত্রিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার রূপ নেয়।  

 
ফরেক্স ট্রেড এর সুবিধা কি ? 

অন্য আর্থিক বাজার থেকে এই বাজারের কিছু বহুমুখী সুবিধা আছে। 

১। আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারনে যে কেউই পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে। 

২। ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর তাই পরিবারকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে পারবেন। 

৩৷ ফরেক্স মার্কেট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুদ্রা বাজার, এই বাজারে মুদ্রার দাম ভিবিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তিত হয়৷ এই বাজারের মুদ্রার দামের উপর নির্ভর করে পৃথিবীর সব দেশের ব্যাংক সহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুদ্রার দাম। 

৪৷ একক কারো প্রতিনিধিত্ব এই বাজারে কোনরুপ প্রতিফলন তৈরি করতে পারে না৷ স্বয়ং বিল গেটস এর পুরো অর্থের সামর্থ্য নাই এই বাজারকে পরিবর্তন করার৷ 

৫৷ ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেই। দামের ঊর্ধ্বগতি বা নিম্নগতি উভয় গতিতে প্রফিট করা যায়। কারন স্টক মার্কেটে আপনি শুধু buy করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন। 

৬৷ এখানে মধ্য কোন স্বত্বাধিকারী নেই তাই আপনি সরাসরি কেনা-বেচা করতে পারবেন৷ এটি গ্লোবাল মার্কেট তাই আপনি বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে আপনার ট্রেড পরিচালনা করতে পারবেন। 

৭৷ এটি একমাত্র বাজার যা সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রুবার ২৪ ঘন্টায় খোলা থাকে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সেশন-এ৷ ফলে যে কোন পেশার মানুষ তাদের সুবিধা মত দিনে কিংবা রাতে যে কোন সময়ে ট্রেড করতে পারে এবং শনি ও রবিবার এই মার্কেটের সকল লেনদেন বন্ধ থাকে বা ছুটি পালন করা হয়। 

৮৷ এই মার্কেট-এ আপনি স্বাধীন ইনভেস্টটর অর্থাৎ এই মার্কেটে সর্ব নিম্ন কিংবা সর্বোচ্চ কোন ইনভেস্টমেন্ট বাধ্যবাধকতা নেই৷ ফলে আপনি আপনার সামর্থ্য মত যে কোন পরিমান ইনভেস্ট করে ট্রেড শুরু করতে পারেন। 

৯৷ মূল ট্রেড শুরু করার পূর্বে আপনি ট্রেড করার জন্য প্রস্তুত কিনা সে প্রস্তুতিটাও আপনি সেরে নিতে পারবেন ডেমো ট্রেড এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মানি দিয়ে। 

১০৷ এই বাজারে আপনি আপনার সীমিত টাকা দিয়ে বিশাল পরিধিতে ট্রেড করার জন্য লিভারেজ সুবিধা পাবেন। 

১১৷ এটি একটি স্পট ট্রেড বা কন্টিনিয়াস ফ্লো মার্কেট যেখানে আপনাকে কোন শেয়ার ক্রয় করে তা বিক্রির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না৷ অর্থাৎ আপনি মুহূর্তের মধ্যে আপনার ট্রেড সম্পূর্ণ করতে পারবেন। 

১২৷ আপনার সকল লেনদেন আপনার ব্যক্তিগত একটি একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে যেখানে অন্য কারো এক্সেস এর কোন সুযোগ নেই৷ তাই আপনি ১০০% সিকিউর। 

১৩৷ আপনি আপনার ডিপোজিট বা ইউথড্র যে কোন আন্তর্জাতিক বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি নিজেই করতে পারেন৷ কারো যদি আন্তর্জাতিক কোন মাধ্যম না থেকে সেই ক্ষেত্রে ব্রোকারদের প্রদত্ত বিভিন্ন অপশনের মাধ্যমেও সম্পন্ন করতে পারবেন। 

উল্লেখ্য যে, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, নিজেকে এই মার্কেটের যোগ্য করে তুলতে হবে। ফরেক্স মার্কেট থেকে যে কেউই কোন কিছু না জেনেও হয়ত প্রথম দিকে অনেক আয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতই চ্যালেঞ্জিং। না জেনে হয়ত প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে যেটা স্টক মার্কেটও অনেকে হয়। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।   

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে আয়

ধরুন, আপনার জ্বর আসল। আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার আপনাকে দেখে বললেন অমুক হাসপাতাল থেকে আপনাকে এই টেস্টগুলো করিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এখন, ভাবুন তো, ডাক্তার আপনাকে অমুক হাসপাতালের কথা কেন বললেন? টেস্ট তো যে কোন হাসপাতাল থেকেই করানো যেত! হ্যাঁ, ডাক্তার আপনাকে অমুক হাসপাতালের কথা এই জন্যই বলেছেন কারন সেই হাসপাতাল থেকে টেস্ট করালে আপনার টেস্ট এ যা টাকা আপনি হাসপাতালকে দিবেন তার কিছু অংশ ওই ডাক্তার পাবেন। 
এর মানে হচ্ছে ডাক্তার ওই হাসপাতালের একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করেছেন। ঠিক এটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে, আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য অনলাইনে প্রচার চালিয়ে বিক্রি করে দিতে হয়। প্রতি বিক্রিতে ওই কোম্পানি আপনাকে কিছু কমিশন দেয়। আর এইভাবেও অনেকেই আয় করে চলেছেন। আশা করি এই বিষয়েও ধারনা পেয়েছেন।   

কিভাবে পেমেন্ট পাব ? 

হ্যা, কাজটি যদি আপনি সফলভাবে করে দিতে পারেন তাহলে ক্লাইন্ট আপানকে সরাসরি পেমেন্ট করবে না। ক্লাইন্ট পেমেন্ট করবে সেই ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেখানে আপনার সাথে ক্লাইন্টের পরিচয় হয়েছে। মানে, আপনি যেই ওয়েবসাইট থেকে কাজটি পেয়েছিলেন, ক্লাইন্ট সেখানেই আপনাকে পেমেন্ট করবে। 

সেই ওয়েবসাইট আপনার অ্যাকাউন্টে মোট পেমেন্ট থেকে % চার্জ কেটে রেখে দিয়ে বাকি টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে জমা করবে। এই ডলার আপনি বাংলাদেশী অনলাইন সাপোর্ট করে এমন যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন কোন রকমের ঝামেলা ছাড়াই এবং এই ডলার অটোমেটিক আমাদের দেশীয় টাকায় কনভার্ট হয়েই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। 
অনেকেই তো বলে টাকা তুলতে গেলে নাকি পেপাল, মাস্টারকার্ড ইত্যাদি থাকতে হবে

এক কথায় আমি বলব, না। ফ্রীল্যান্সিং যে টপ সাইট গুলো আছে সেখান থেকে আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই টাকা তুলতে পারবেন। এমনকি টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ডলারে আসলেও আপনি ব্যাংকে ট্রান্সফার করার পর সেটি টাকায় কনভার্ট হয়ে যাবে। তাই পেমেন্ট নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই। 

তবে কিছু সাইট রয়েছে যেখান থেকে টাকা তুলে গেলে একটি মাস্টারকার্ড প্রয়োজন হবে। তবে, মাস্টারকার্ড পাওয়া তেমন কঠিন কিছুই না। Payoneer থেকে আপনারা চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রীতেই একটি মাস্টারকার্ড পেতে পারেন।

যাই হোক, ওডেস্ক/আপওয়ার্ক, ইল্যান্স, ফ্রীল্যান্সার ইত্যাদি টপ কোয়ালিটি ফ্রীল্যান্সিং সাইট থেকে আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা তুলতে পারবেন, তাই পেমেন্ট নিয়ে এত চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই।
  

ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই।

১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন, শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে। 

২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না। 

ভালো এবং খারাপের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালোটা গ্রহন করুন। অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে, তবে তার সব ক’টি পজেটিভ নয়। 

৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন। 

৪. একটি সময় ঠিক করুন, কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নির্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন। 

৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন, তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না, কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না। 

৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে, আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন। বার বার কাজ পাল্টাবেন না, এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না। যেকোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

Asad.

sultanasad23@gmail.com

Author: Asad

I’m a professional Graphics Designer with more than 3 years working experience in Adobe Photoshop and Adobe Illustrator. I can do any Photoshop related work like as Background Remove, Multiple-Clipping Path, Image Manipulation, Image Masking, Image Retouching, Shadowing and many more. I can do Business Card/Visiting Card Design, Logo Design, Poster & Banner Design, Vectorization work etc. I also know freelance Article Rewriting & Android Operating System. I can do any kind of work smoothly and perfectly with client satisfaction. So, give me your order and see my talent. I can assure you that, you’ll get top quality work from me. Thanks Asad

Leave a comment